ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে (বিস্তারিত আলোচনা)

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে, আউটপুট ডিভাইস কাকে বলেঃ আসসালামু আলাইকুম, সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমাদের আজকের আলোচনা পর্বে। সুপ্রিয় পাঠ বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন। তো আপনারা যারা ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কে জানতে চান এবং এ সংক্রান্ত সকল প্রশ্নের সমাধান পেতে চান, তাদেরকে বলব আমাদের আজকের স্কিপ না করে সম্পূর্ণ পড়ুন। কেননা আজ আমরা আলোচনা করব ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে এবং আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে এ সম্পর্কিত নানা প্রশ্ন ও তার সমাধান সম্পর্কে।

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে, আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে, ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস গুলো কোনগুলো এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কি? এ সম্পর্কিত নানা আলোচনা আজ আমরা স্টেপ বাই স্টেপ আপনাদের সাথে করবো। কেননা ইনপুট এবং আউটপুট নিয়ে বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা প্রশ্ন এসেই থাকে। তাই তাদের সেই প্রশ্নের সমাধান মিলবে আমাদের আজকের আর্টিকেলে।

আজকের আলোচনায় আপনি যা যা পাবেন:

  • ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে?
  • ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি?
  • ইনপুট ডিভাইস এর কাজ কি?
  • ইনপুট ডিভাইস এর উদাহরণ
  • আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে?
  • আউটপুট ডিভাইস গুলো কি কি?
  • আউটপুট ডিভাইস এর কাজ কি?
  • আউটপুট ডিভাইস এর উদাহরণ
  • কম্পিউটারের ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কিত আলোচনা।

ইনপুট ডিভাইস কি/ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে?

কম্পিউটারের বিভিন্ন ডাটা এবং ইনস্ট্রাকশন দেওয়ার জন্য যে ডিভাইস গুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে ইনপুট ডিভাইস বলে। ইনপুট ডিভাইস মূলত এক ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যেটা কম্পিউটারের একটি অংশ।

আরেকটু ভিন্নভাবে বললে বলা যায় যে– এক ধরনের হার্ডওয়ার ডিভাইস হচ্ছে ইনপুট ডিভাইস, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীর ডেটা বা নির্দেশনাবলী কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট সিপিইউ তে ইনপুট করা যায়।

সুতরাং কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস হচ্ছে এমন কিছু হার্ডওয়ার যেটা ব্যবহার করে কম্পিউটারকে কাজ করার জন্য ডাটা বা নির্দেশনাবলী দেওয়া হয়ে থাকে।

আউটপুট ডিভাইস কি/আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে?

যে সকল ডিভাইস ইমপোর্ট ডেটা প্রসেসিং হওয়ার পর আউটপুট প্রদান করে সে সকল ডিভাইসকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়। মূলত একজন ব্যবহারকারী কম্পিউটারকে যখন ইনপুট দেয় এবং তার ওপর কোন কাজ করতে বলে পরবর্তীতে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার পরে কম্পিউটার ফলাফল হিসেবে একটি আউটপুট ব্যবহারকারীকে প্রদান করে। আর এই আউটপুটটি যে ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছায় সেটাই হচ্ছে আউটপুট ডিভাইস।

আরেকটু ভিন্নভাবে বললে বলা যায় কম্পিউটারের যে অংশ কম্পিউটার দ্বারা প্রেরিত তথ্য কে ব্যবহারকারীর বোধগম্য করার মতো তথ্য হিসেবে প্রকাশ করে তাকে আউটপুট ডিভাইস বলে।

ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি?

ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে আমরা সে সম্পর্কে জেনেছি। এখন কথা হচ্ছে ইনপুট ডিভাইস গুলো আসলে কি কি? কোন কোন অংশকে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়। শিক্ষার্থীরা সাধারণত পাঁচটি ইনপুট ডিভাইসের নাম জানতে চান। তবে এ পর্যায়ে আমরা প্রায় অনেক গুলো ইনপুট ডিভাইসের নাম গুলো সাজেস্ট করব। যথা:

  • মাউস
  • কিবোর্ড
  • টাস স্ক্রিন
  • স্ক্যানার
  • ওএমআর
  • ও সি আর
  • বারকোড রিডার
  • লাইট পেন
  • ডিজিটাল ক্যামেরা
  • মাইক্রোফোন
  • গ্রাফিক্স ট্যাবলেট

আউটপুট ডিভাইস গুলো কি কি?

একইভাবে আউটপুট ডিভাইসের নাম গুলো হলো:

  • প্রিন্টার
  • মনিটর
  • প্লোটার
  • প্রজেক্টর
  • স্পিকার
  • ইয়ারফোন
  • জি পি এস
  • সাউন্ড কার্ড
  • ব্রেইল রিডার
  • ভিডিও কার্ড

ইনপুট ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি?

ইনপুট ডিভাইস অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। মূলত এর নির্দিষ্ট কোন প্রকারভেদ নেই। কম্পিউটারের সাথে ইন্টারেক্ট করার জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহারযোগ্য দুটি ইনপুট ডিভাইস হচ্ছে: মাউস এবং কীবোর্ড।

আউটপুট ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি?

আউটপুট ডিভাইসকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলো হলো:

  • ভিজুয়াল আউটপুট ডিভাইস
  • ডাটা আউটপুট ডিভাইস
  • সাউন্ড আউটপুট ডিভাইস
  • প্রিন্টার আউটপুট ডিভাইস

ইনপুট ডিভাইসের কাজ কি?

ইনপুট ডিভাইসের কাজ হলো কম্যান্ড কম্পিউটারে যেটা পাঠানো এবং পরবর্তীকালে সেই ডেটা কম্পিউটার সিপিইউ তে নিয়ে যাওয়া এবং আউটপুট ডিভাইসে প্রদর্শন করা। বলতে পারেন এই ডিভাইস একটি পেরিফেরাল, যেটা ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে ডেটা প্রবেশ করতে দেয়।

ইনপুট ডিভাইস একটি ব্যক্তি বা একটি মেশিন কে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে এবং কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ ও ডেটা বিনিময় করতে সহায়তা প্রদান করে। ইনপুট ডিভাইস হিসেবে মূলত বেশ কয়েকটি ডিভাইস রয়েছে যেগুলো মানুষকে কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। মানে এর অর্থ হচ্ছে একজন মানুষ কম্পিউটারে ডেটা এবং নির্দেশনাবলী ইনপুট করতে পারে।

যেমন: কিবোর্ড একটি ইনপুট ডিভাইস। তো আপনি যদি কিবোর্ডে কিছু টাইপ করেন তাহলে সেই ডেটা আগে কম্পিউটারের সিপিইউতে যাবে সেখানে প্রসেসিং হয়ে আউটপুট ডিভাইস অর্থাৎ মনিটরে প্রদর্শিত হবে। সুতরাং ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে আপনার নির্দেশনাবলী গুলো কম্পিউটারে পাঠাতে পারবেন এবং তার আউটপুট আপনার আউটপুট ডিভাইসে দেখতে পাবেন, আর এই সমস্ত প্রক্রিয়াটাই input ডিভাইসের কাজ।

আউটপুট ডিভাইস এর কাজ কি?

আউটপুট ডিভাইসের মূল কাজ হলো সিপিইউ ইনপুট গ্রহণ করার পরে প্রসেসিং করা এবং এর ফলে প্রাপ্ত ফলাফল আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রদর্শিত করা। আমরা যখন কোন ইনপুট প্রদান করি তখন ওই ইনপুট বাইনারি সংখ্যা তে রূপান্তরিত হয়ে সিপিইউ এর কাছে যায় এবং ওই ডেটা সিপিইউ দ্বারা প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে পুনরায় বাইনারি সংখ্যা তে আউটপুট প্রদান করে। আর ওই বাইনারি সংখ্যাকে পুনরায় আমাদের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়াটা মূলত আউটপুট ডিভাইসে দেখানো হয় এবং এটাই আউটপুট ডিভাইসের মূল কাজ।

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্য

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি ডিভাইস। ইনপুট এবং আউটপুট সম্পর্কে ইতিমধ্যে বেশকিছু বিষয় আলোচনা করেছি আমরা।

ইনপুট ডিভাইস এর উদাহরণ

ইনপুট ডিভাইস গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে হার্ডওয়ার ডিভাইস। যেটি সচরাচর কম্পিউটারে ডেটা পাঠানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি ইনপুট ডিভাইসের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে কিবোর্ড, স্ক্যানার এবং মনিটর। ইনপুট ডিভাইস ব্যবহারকারীর কাছ থেকে বা অন্য কোথাও থেকে তথ্য পেয়ে থাকে। আর একটি কিবোর্ড একটি ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণ যা ব্যবহারের কারীর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। একটি কিবোর্ড ব্যবহারকারী কে মেশিনে পাঠ্য টাইপ করার অনুমতি প্রদান করে এবং কম্পিউটার যুগে আইকনিক প্রতীক হয়ে ওঠে। এটি মূলত একটি কমন ইনপুট ডিভাইস। আর কীবোর্ড হচ্ছে কম্পিউটারের প্রাথমিক ইনপুট ডিভাইস। মূলত কম্পিউটারের সমস্ত কমান্ড কিবোর্ড এর মাধ্যমে দেওয়া হয়ে থাকে এটি একটি শক্তিশালী ইনপুট ডিভাইস যা টাইপ রাইটার নীতি ব্যবহার করে।

আউটপুট ডিভাইস এর উদাহরণ

আউটপুট ডিভাইস এর নামগুলো আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি। এটাও জেনেছি ব্যবহারকারীরা যখন কম্পিউটারকে কোন নির্দেশনা বলে দেয় কম্পিউটারের সিপিইউ সেটা প্রসেসিং করে যে ডিভাইসের মাধ্যমে আউটপুট প্রদর্শন করে সেটাই হচ্ছে আউটপুট ডিভাইস। উদাহরণস্বরূপ কী-বোর্ড একটি ইনপুট ডিভাইস এবং আউটপুট ডিভাইস হচ্ছে কম্পিউটার স্পিকার।

এরকম আরো আর্টিকেল পড়তে – এখানে ক্লিক করুন

পরিশেষে: ইনপুট ডিভাইস কাকে বলে, আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে– এ সম্পর্কিত আমাদের আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করছি। তো সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের যদি কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য থেকে থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানান। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।