6 টি অল্প পুঁজির ব্যবসা 2024- বর্তমান বাজারে কম পুঁজিতে ভালো লাভজনক ব্যবসা

যারা নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে চান না অথবা যাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য অনেক বেশি টাকা নেই তারা নিচের ৬ টি অল্প পুঁজির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। চলুন তাহলে এইবার আমরা একে একে এই সমস্ত অল্প পুঁজির ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারে জেনে নিই।

(1) কুরিয়ার কোম্পানি (Courier Company)

ভারতে ক্রমশ বেড়ে চলা অনলাইন বাজারে কুরিয়ার কোম্পানি গুলি দারুন উন্নতি করছে। ভয় পাওয়ার কোনো দরকার নেই। এখানে আপনাকে নতুন কোনো কুরিয়ার কোম্পানি খুলতে বলা হচ্ছে না।

নতুন কোনো কুরিয়ার কোম্পানি খুলতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন। তবে আপনি চাইলে খুব কম টাকায় ভারতের জনপ্রিয় কোনো কুরিয়ার কোম্পানির Franchise নিতে পারেন।

বর্তমান সময়ে ভারতের প্রায় সমস্ত জায়াগার লোকেরা অনলাইনে বাজার করছে। যেকারনে অনলাইন ডেলিভারি ভিত্তিক কুরিয়ার কোম্পানি গুলির ব্যবসার দারুন উন্নতি লাভ হচ্ছে। আপনি চাইলে যেকোনো কুরিয়ার কোম্পানির ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে নিজের আলাদা ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

(2) ড্রপশিপিং (Dropshipping)

ড্রপশিপিং আজকের দিনে সবথেকে ভালো ছোটো আকারের লাভদায়ক ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে একটি। এক্ষেত্রে রিটেল সাপ্লাই পদ্ধতিতে অনলাইনে স্টোর খুলে অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল করতে হয়। এই ব্যবসা খুব কম খরচে এমনকি টাকা ইনভেস্ট না করেই শুরু করতে পারবেন।

এই ব্যবসাতে কাস্টোমারের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে সেটি সাপ্লায়ার-এর কাছে পাঠানো হয়। এরপর সাপ্লায়ার ঐ অর্ডার করা প্রোডাক্টটি সরাসরি কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে মধ্যবর্তী মার্জিন ড্রপশিপারের কাছে চলে যায়।

(3) অনলাইন বেকারি বিজনেস (Online Bakery Business)

অনলাইন খাবার ডেলিভারির ব্যবসা ভারতে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। এখন অনেকেই বাড়ি থেকে তাদের পছন্দের খাবার অনলাইনে অর্ডার দিতে বেশি পছন্দ করছে। আপনি যদি বেকিং করা জানেন তাহলে আপনিও অনলাইন বেকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

নিজের বাড়িতেই বেকিং করা খাবার প্রস্তুত করতে পারবেন। এক্ষেত্রে জনপ্রিয় কয়েকটি বেকারি খাবার হল- কেক, পাউরুটি, কুকিজ, পিতজা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনাকে খাবার বানাতে ভালোবাসতে হবে।

আপনি যদি মনে করেন অনলাইনে বেকারি খাবার সেল করা খুবই কঠিন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কেননা এখন ইন্টারনেটের যুগে সবাই মোবাইল ব্যবহার করছে। সকলেই নতুন নতুন অ্যাপ ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মে বেকারি খাবার বিক্রির জন্য রেজিস্টার করতে হবে।

(4) হাতের তৈরি দ্রব্য (Handcrafted Products)

অনলাইন, ইন্টারনেট এবং টেকনোলজির যুগে অনেক পেশাদার লোক তাদের ব্যবসা অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে পেরেছে। রিটেল স্টোরের বিপরীতে এই হ্যান্ডক্রাফটেড ব্যবসার জন্য অন্য কারো উপর নির্ভর থাকতে হয় না।

আপনি নিজেই বাড়িতে তৈরি জিনিস গুলি জোগাড় করে সেগুলিকে কাস্টোমারদের কাছে পৌছে দিতে পারেন। এটা হতে পারে মোমবাতি, মাটির তৈরি কোনো পাত্র, প্রদীপ ইত্যাদি।

বর্তমানে অনেক জায়গায় কারেন্ট চলে গেলে মোমবাতির ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয় বাড়ি সাজানোর বা ডেকোরেশনের জন্যও মোমবাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এর চাহিদা যে প্রবল সে বিষয়ে দ্বিমত থাকার কোনো মানেই হয় না। তাই এই লাভজনক ব্যবসাটি শুরু করা যেতেই পারে।

(5) সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সি (Social Media Agency)

ডিজিটাল যুগের এই প্রতিযোগিতায় সকল কোম্পানিগুলি তাদের ব্যবসার উন্নতির জন্য অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা মার্কেটিং এর জন্য বিভিন্ন মার্কেটিং করতে জানে এমন লোক বা এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছে।

আপনার যদি মার্কেটিং বিষয়ে জ্ঞান থাকে অথবা আপনি মার্কেটিং ভালোভাবে শিখে কাজ করতে চান তাহলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সি খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কয়েকজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের খুজে নিতে হবে এবং তাদেরকে নিয়ে নিজের একটি সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সি খুলতে হবে।

যাদের নিজের ব্যবসার উন্নতি করার দরকার পড়বে তারা নিজে থেকেই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আর আপনি তাদের কাজ করে দিলে তার পরিবর্তে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্যবসা থেকে কি পরিমান টাকা ইনকাম হতে পারে তা আপনার দক্ষতা এবং কি পরিমানে কাজ আসছে তার উপর নির্ভর করবে।

(6) পরিষেবা প্রদান বা সেল (Sell a Service)

যেকোনো ধরনের পরিষেবা বা সার্ভিস দিয়েও ব্যবসা গড়ে তোলা যায়। যদি আপনি রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ফিটনেস ট্রেনিং, ফটগ্রাফি ইত্যাদিতে পারদর্শী হন তাহলে সার্ভিস বেসড ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনাকে এই ধরনের যেকোনো একটি স্কিল বা দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

যেকোনো একটি বিষয়ে স্কিল থাকলে সহজেই অন্য কোনো ব্যক্তির হয়ে কাজ করতে পারবেন। এটি একটি স্বাধীন ব্যবসা বা কাজ হবে, যেখানে আপনিই আপনার বস হবেন। এক্ষেত্রে এইরকম কাজ করার জন্য অনেকেই এখন ফ্রিলান্সিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন।

কিছু সময় আপনি নিজেই সার্ভিস প্রদান করতে পারেন। যখন আপনার কাছে আরো বেশি ক্লায়েন্ট আসবে এবং কাজ বাড়বে তখন কয়েকজনকে নিয়োগ করে একটি এজেন্সি খুলে ভালো মানের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। আর এই ধরনের কাজের বা ব্যবসার চাহিদা দিনের পর বেড়েই চলেছে। পরিষেবা প্রদান বা সেল করার ব্যবসা শুরু করে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব।