|
M4 ম্যাক মিনি নতুন টেক নয়। তবে নতুন একটা রেভুলেশন নিয়ে আসবে।
# পিসি মার্কেটের শেয়ার দখল করবে।
একই দামে সিমিলার উইন্ডোজ অথবা লিনাক্স ওয়ার্কস্টেশন সেট করতে সত্যি বলতে বেশি খরচ পড়বে। লো বাজেটের মানুষ যখন চিন্তা করবে কোনটা কিনব, নিঃসন্দেহে ম্যাক মিনি পছন্দ করবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে। সবাই নিশ্চিত স্বীকার করবেন যে লিনাক্স বা উইন্ডোজ থেকে ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি।
# GPU মার্কেটে NVDIA এর রাজত্ব কমাবে।
এখনকার বেশির ভাগ মেশিন লার্নিং মডেল NVIDIA সাপোর্টেড সিস্টেমে রান করছে। কিন্তু অ্যাপল সিলিকনেও মেশিন লার্নিং মডেল ভালো পারফর্ম করছে। বিশেষ করে MLX ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে। অ্যাপল MLX ফ্রেমওয়ার্ক রিলিজ করেছে অ্যাপল সিলিকনে মেশিন লার্নিং মডেল ট্রেইন এবং রান করার জন্য। যেটা খুবি অপটিমাইজড।
অনেকে দেখলাম একের অধিক ম্যাক মিনি কিনে ক্লাস্টার তৈরি করে এরপর মেশিন লার্নিং মডেল ট্রেইন করছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে ম্যাক রান করতে খুব কম বিদ্যুৎ লাগে। অন্যদিকে NVIDIA GPU রান করতে প্রচুর বিদ্যুৎ লাগে। চারটা ম্যাক মিনি রান করতে যত বিদ্যুৎ লাগবে, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি বিদ্যুৎ লাগবে একটা সিঙ্গেল GPU রান করতে। কনজিউমার লেভেলে এটা বড় একটা প্লাস পয়েন্ট। এন্টারপ্রাইজ লেভেলে এমন সেটআপ প্র্যাকটিক্যাল হবে না। কিন্তু যারা শিখছে, প্র্যাকটিস করছে, এক সাথে অনেক বেশি টাকা দিয়ে একটা সেটআপ তৈরি করার সক্ষমতা নেই, তাদের জন্য এমন ক্লাস্টার সেটআপ ইফিশিয়েন্ট হবে। কারণ একটা NVIDIA GPU কেনার থেকে চারটা ম্যাক মিনি কিনতে কম টাকা লাগবে।
ইটেনশনালি হোক বা আনইন্টেশনালি, NVDIA এর রাজত্ব কমবে। কমতে বাধ্য।
# গেমিং মার্কেট আস্তে আস্তে দখল করবে।
অ্যাপল দেখবেন যে কোন ম্যাক প্রোডাক্টের ইন্ট্রোতে গেমিং এক্সপেরিয়েন্স রাখে। আস্তে আস্তে দখল করার জন্যই এভাবে দেখাচ্ছে। চিন্তা করেন, একটা ছোট্ট ম্যাক মিনি। এটা একই সাথে আপনার ওয়ার্কস্টেশন হিসেবে কাজ করছে। আবার বোরিং হলে গেমও খেলতে পারছেন। দারুণ হবে না? পিসি জনপ্রিয় ঠিক এই কারণে। মাল্টি পারপাস। অ্যাপল আস্তে আস্তে ঐ দিকে যাচ্ছে। ওদের ম্যাক মিনির ইন্ট্রো ভিডিওতে ঠিক এভাবেই ইন্ট্রডিউস করিয়েছে।