নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সেরা ৩০টি ব্যবসার আইডিয়া

এখন বাংলাদেশের বেকার ছেলে-মেয়েরা চাকরি খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন ধরণের বিজনেস করছে যেমনঃ পাইকারি ব্যবসা, মাঝারি ব্যবসা, কৃষি ব্যবসা, বেকারি ব্যবসা, অনলাইন ব্যবসা, স্মার্ট ব্যবসা, ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসা ইত্যাদি। আপনি যদি বিভিন্ন ধরণের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। বর্তমানে বাস্তব জীবনে বেঁচে থাকাটা খুব কঠিন। কারণ বেঁচে থাকতে হলে টাকা পয়সা রোজগার করতে হয়।
বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ যুবক যুবতী ও শিক্ষিত বেকার’রা চাকরি খুঁজে না পেয়ে ব্যবসা করছে। কারণ বাংলাদেশে চাকরী দেওয়ার মতো প্রতিষ্ঠান খুব কমই আছে। তাই কিভাবে নিজের কর্মসংস্থান তৈরি করা যায় তার সেরা কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব। পৃথিবীতে এসে সবাই বড়লোক হতে পারেন না এবং চাইলেই কেউ ধন সম্পদের মালিক হতে পারেন না। তার জন্য প্রয়োজন নিজের বুদ্ধিমত্তা ও শ্রম। যারা মধ্যবৃত ঘরের সন্তান তারা বুঝে পড়াশোনা করে একটা ভালো জব না পাওয়া কতটা কষ্টকর।

সেরা ৩০টি ব্যবসার আইডিয়া

জীবনে ভালো কিছু পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশ এই দেশে বেকার ছেলে-মেয়েরা তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা পায় না একটি ভালো চাকরি করার জন্য। আপনি যদি একজন পড়ালেখা করা ছেলে বা মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে বাংলাদেশে একটি ভালো চাকরি পাওয়া কতটা কষ্টকর। তাই আমি বলতে চাই আমাদের দেশের সকল বেকার ছেলে-মেয়েরা যেন একটি ভালো চাকরি ও নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার সুযোগ পায়।
এছাড়া আপনার অভিভাবক যদি আপনার ক্যারিয়ার গড়া নিয়ে কোনো উপদেশ দিয়ে থাকে তাহলে সেটাই মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ তাঁরা কখনো খারাপ উপদেশ দিবে না, তাঁরা ভেবে চিন্তেই আপনাকে বলবে। সব সবময় একটি কথা মনে রাখবেন ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়। আপনার অভিভাবক যদি আপনাকে দিয়ে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে চায় তাহলে তাদের কথাই মেনে নেওয়া ভালো।
এছাড়া আপনার যদি কোনো স্বপ্ন থাকে তাহলে সেটা আপনার অভিভাবকদের জানান এবং এগিয়ে যান স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে। তাহলে চলুন জেনে নেই কতগুলো ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
সেরা ৩০টি ব্যবসার আইডিয়া

১। মুরগির ফার্ম – ব্যবসার আইডিয়া

এটা একটি ছোট ব্যবসার আইডিয়া। স্বল্প পুঁজিতে লাভজনক একটি ব্যবসা যা পোলট্রি ফার্ম দিয়ে করতে পারবেন। এখন প্রায় যুবক-যুবতী বা বেকার লোকজন এই ব্যবসায়টি করে থাকে। এই ব্যবসায় স্বল্প মূলধন নিয়ে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
আপনার যদি কোনো জায়গা থাকে একটি ফার্ম দেওয়ার মতো বা কোনো একটি দোকান ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসাটি করতে পারেন। বর্তমানে পোলট্রি মুরগির অনেক চাহিদা রয়েছে যার জন্য আপনার মুরগি বিক্রয় নিয়ে কোনো চিন্তা ভাবনা করতে হবে না।

২। ডিম উৎপাদনের জন্য হাসের খাবার

অল্প মূলধন নিয়ে বেশি লাভ করার জন্য এই ব্যবসায়টি অন্যতম। আপনি একটি হাসের খামার তৈরি করে বা ভাড়া নিয়ে কতগুলো হাঁস ক্রয় করে লালন-পালন করতে পারেন ডিম উৎপাদনের জন্য। বর্তমান বাজারে হাঁস মুরগির ডিমের অনেক চাহিদা রয়েছে। বেশ চরা দামেই হাসের ডিম বিক্রয় হয়ে থাকে। আপনি যদি ভালো ভাবে হাঁস লালনপালন করতে পারেন তাহলে ডিম উৎপাদনের ক্ষমতা থাকবে অনেক বেশি এবং বেশি ডিম দেওয়ার জন্য ব্যবসায় লাভ করা সম্ভব।

৩। মাছ চাষ করা – ব্যবসার আইডিয়া

আপনি যদি গুগলে সার্চ করে থাকেন তাহলে দেখতে পারবেন মাছ চাষ করে কোটিপতি হয়েছে অনেক মানুষ। বাংলাদেশে মাছ চাষ করে অনেকে ব্যবসা করছে এবং প্রতিবছর লক্ষ-কোটি টাকা আয় করছে। আপনার যদি কোনো পুকুর থাকে বা কোনো পুকুর নির্বাচন করে মাছ চাষ করার ব্যবসায় নেমে যেতে পারেন।
মাছ চাষ করা নিয়ে আপনার যদি কোনো আইডিয়া না থাকে তাহলে কোনো কৃষি কর্মকর্তা বা কৃষি অফিসে যেয়ে মাছ চাষের আইডিয়া নিতে পারেন। বাংলাদেশে মাছ চষের অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন জায়গায় কৃষি অফিসে মাছ চাষের বর্ণনা দিয়ে থাকে। আপনি স্বল্প মূলধন নিয়ে মাছ চাষের এই ব্যবসায়টি করতে পারেন।

৪। একই জায়গায় হাঁস ও মাছ চাষ

এটা খুবই লাভজনক ও ভালো একটি ব্যবসার আইডিয়া। আপনি মাছ চাষের পাশাপাশি হাঁস পালন করতে পারেন এটা আপনাকে বেশি সুযোগ করে দিবে ব্যবসায় সফলতা আনার জন্য। মাছ চাষের পাশাপশি হাঁস পালন করলে হাঁস পুকুরে পানিতে সাঁতার কাটতে পারবে এবং মাছ হাসের বিস্টা খেয়ে আহার করবে।
এভাবে মাছের খাদ্য খরচ কম হবে এবং হাঁস সুস্থ থাকবে ও বেশি ডিম দিবে। অনেক মাছ চাষ ব্যবসায়ীরা মাছ চাষ করার পাশাপাশি হাঁস পালন করে থাকে বেশি লাভ অর্জন করার জন্য। আপনার যদি এই দুটি ব্যবসা একসাথে করার মতো অবস্থা থাকে তাহলে এই ব্যবসায়টি করতে পারেন।

৫। দুধ উৎপাদনের জন্য গরুর খামার

আপনার কাছে যদি মোটামুটি ভালো মানের মূলধন থাকে তাহলে গাভী গরুর একটি খামার দেওয়া হতে পারে সবচেয়ে ভালো ব্যবসার আইডিয়া। গাভী গরুর খামার দিলে আপনার দুই ভাবে লাভ হবে যেমনঃ ১/ গাভী গরু বাচ্চা দিবে ২/ গাভী গরু দুধ দিবে। খুবই ভালো মানের একটি ব্যবসার আইডিয়া।
বাজারে দুধের দাম সবসময় অনেক বেশি থাকে। আপনি যদি ভালো ভাবে গাভীর যত্ন নিয়ে পালন করতে পারেন তাহলে প্রতিদিন অনেক পরিমাণে দুধ পাবেন। এছাড়া সময় মতো গাভী বাচ্চা দিবে যেটা আপনাকে আরো অধিক লাভবান করে তুলবে।

৬। ষাঁড় গরু পালন – ব্যবসার আইডিয়া

আমাদের দেশে প্রতিবছর দুটি ঈদ আসে যেটা আপনি খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পারছেন ষাঁড় গরু পালন করলে বিশেষ করে কোরবানির ঈদে প্রচুর দামে বিক্রয় করা যায়। আপনি চাইলে নিজের বাড়ির মধ্যে ২-৩ টা ষাঁড় গরু পালন করতে পারেন অধিক দামে বিক্রয়ের জন্য। এছাড়া আপনার যদি সামর্থ থাকে তাহলে ভালো অংকের টাকা নিয়ে একটি ষাঁড় গরুর খামার দিতে পারেন।
যেটা হতে পারে আপনার ব্যবসায় লাভবানের অন্যতম একটি আইডিয়া। ষাঁড় গরু পালন করলে বছর শেষে ভালো একটা অংক চলে আসে যেটা আপনার জন্য সফলতা।

৭। ছাগল পালন – ব্যবসার আইডিয়া

যাদের গরুর খামার বা পালন করার মতো সামর্থ নেই তাঁরা ছাগল পালন করতে পারেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের ছাগল পাবেন যেগুলো আপনার স্বল্প মূলধনের ব্যবসায় সফলতা এনে দিতে পারে।
ছাগল পালন করলে দুধ দেওয়ার পাশাপাশি বাচ্চা দিয়ে থাকে যেটা আপনার জন্য লাভজন ও সহজ একটি ব্যবসার আইডিয়া। ছাগল পালন করলে আপনার খাদ্য খরচ কম হবে। ভালো জাতের ছাগলগুলো বছরে কয়েকবার বাচ্চা দিয়ে থাকে। এছাড়া ছাগল দুধ কম দিলেও ছাগলের দুধের দাম অনেক বেশি। আপনি চাইলে ছাগলের বাচ্চাগুলো বড় করে হাটে বিক্রয় করে দিতে পারবেন এবং চাইলে খামার আরো বড় করতে পারবেন ছাগলের বাচ্চা দিয়ে।

৮। কবুতরের খামার

কবুতর পালন করে আপনি হয়ে যেতে পারেন একজন সফল ব্যবসায়ী। অনেক তরুন-তরুনী আছে যারা শখ করে কবুতর পালন করে থাকে কারণ এটা দেখতে সুন্দর। আপনি চাইলে শখের বিষয় কবুতর পালনকে করে নিতে পারেন বানিজ্যিক ভাবে কবুতর পালন।
বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে যেগুলো বাজারে বা হাটে চড়া দামে বিক্রয় করা হয়। কতগুলো কবুতর কিনে একটি খামার বানিয়ে যত্নসহকারে পালন করতে পারেন। কবুতর পালনে আপনার পরিশ্রম যেমন কম অন্যদিকে খাদ্য খরচও কম। আপনি যদি হাটে বাজারে যেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন কবুতর কতটা চড়া দামে বিক্রয় করা যায়।

৯। শাক সবজি চাষ – ব্যবসার আইডিয়া

আমাদের দেশের ৬টি ঋতু রয়েছে এর মধ্যে শীতের মৌসুম হচ্ছে শাক সবজি চাষ করার সবচেয়ে ভালো মৌসুম। কিন্তু শুধু শীতের দিনেই শাক সবজি চাষ করা যায় না বরং সকল মৌসুমেই বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি চাষ করা যায়।
আপনি অল্প মূলধন নিয়ে এই ভালো ব্যবসায়টি শুরু করে দিতে পারেন। বাজারে শাক সবজি কেনার মতো মানুষ আছে অনেক কিন্তু বিক্রয় করার মতো মানুষ কমই দেখা যায়। এই ব্যবসায়টি করে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবসার একটি সফলতা দেখতে পারবেন।
এছাড়া আপনি চাইলে বেশি বেশি শাক সবজি চাষ করে পাইকারি দামে বিক্রয় করে দিতে পারেন। এতে আপনার আর বাজারে যেয়ে কষ্ট করে বিক্রয় করতে হবে না।

১০। মৌমাছি চাষ – ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে আমাদের দেশের মানুষ এখন মৌমাছি পালন করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। মৌমাছি চাষ করলে খরচ কম হয় এবং বেশি লাভবান হওয়া যায়।
আপনি যদি এক কেজি খাঁটি মধু কিনতে জান দাম শুনে আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন, প্রায় ৮০০-১০০০ টাকা হতে পারে। তাহলে আপনি ভাবুন মৌমাছি চাষ করে কতটা লাভবান হওয়া যায়। খুব অল্প খরচেই আপনি এই ব্যবসায়টি করতে পারবেন। আর শীতের দিনে মৌমাছি চাষ করে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারবেন। কারণ সেই সময় মানুষ বেশি মধু ক্রয় করে থাকে।

১১। বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ

এটা খুবই ভালো মানের একটি ব্যবসার আইডিয়া যেটা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। বাংলাদেশের অনেক বেকার ছেলে-মেয়েরা এখন ফুল চাষ করে অনেক টাকা আয় করছে। আপনি ভালো একটি জায়গা পছন্দ করে ফুল চাষ শুরু করে দিতে পারেন। ফুল চাষ করলে আপনাকে ভালো ভাবে গাছের প্রতি যত্ন নিতে হবে।
এই ব্যবসায়টি করার জন্য আপনার কোনো আইডিয়া না থাকলে ইন্টারনেটে রিসার্চ করতে পারেন অথবা যে এই ব্যবসায়টি সম্পর্কে ভালো জানে তার সাথে যোগাযো করুন।
ফুল একটি পবিত্র জিনিস এটা কম-বেশি সব জায়গায় মানুষ সৌন্দর্যের জন্য রেখে দেয়। তাই আমি বলবো স্বল্প মূলধন নিয়ে যদি ব্যবসায় করতে চান তাহলে ফুল চাষ শুরু করুন।

১২। মাশরুম চাষ – ব্যবসার আইডিয়া

আপনি যদি লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন তাহলে মাশরুম চাষ করতে পারেন। বর্তমান বাজারে মাশরুম অনেক দাম ও খুবই সুস্বাদু। মাশরুমে প্রচুর প্রোটিন, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন থাকার কারনের এর চাহিদা অনেক। মাশরুম চাষের জন্য আপনাকে বড় কোনো জমি প্রয়োজন হবে না।
আপনি চাইলে নিজের বাড়ির কোনো একটি স্থানে মাশরুম চাশ করতে পারেন। স্বল্প পুঁজি ও শ্রম ব্যয় করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। মাশরুম চাষ নিয়ে আপনার কোনো ধারণা না থাকলে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউট থাকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হবে।

১৩। নার্সারি ব্যবসা – ব্যবসার আইডিয়া

মোটামুটি কিছু মূলধন নিয়ে শুরু করে দিতে পারেন লাভজনক নার্সারি ব্যবসা। নারী-পুরুষ সকলেই এই ব্যবসায়টি করে লাভবান হতে পারবেন।
আপনার যদি কোনো জমি থাকে বা বাড়ির আশেপাশে কোনো খুলামেলা জায়গা থাকলে সেখানে বিভিন্ন ধরণের চারা উৎপাদন করতে পারেন। আপনি অল্প খরচেই বীজ সংগ্রহ করে চারা উৎপাদন করতে পারেন নানা ভাবে যত্ন নিয়ে। চারা উৎপাদন করলে যেমন আপনার বাড়ি ঘর সুন্দর দেখাবে তেমনি ভাবে চারা বিক্রয় করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। নার্সারি সম্পর্কে আপনার যদি কোনো ধারণা না থাকে তাহলে যেকোনো ভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিন।

১৪। ফার্মেসি ব্যবসা

আপনি যদি একজন শিক্ষিত বেকার মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে ব্যবসার এই আইডিয়া আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। ফার্মেসি ব্যবসা করার জন্য আপনি একটা কোর্স করে নিতে পারেন। কারণ এই ব্যবসায়টি করার জন্য আপনার সঠিকভাবে ঔষধ দেওয়ার মতো ধারণা থাকতে হবে।
ফার্মেসির ব্যবসায় প্রচুর লাভ করা যায় কারণ বেশিরভাগ মানুষ ঔষধ কেনার সময় দামাদামি করে না। দোকানদার যে দাম বলে সেই দামেই মানুষ ঔষধ নিয়ে চলে যায়। আপনি মোটামুটি কিছু মূলধন নিয়ে ছোট এই ব্যবসায়টি করতে পারেন।

১৫। ফাস্ট ফুড ব্যবসা

আপনার এলাকার আশেপাশে কোনো বাজার বা স্কুল-কলেজ যেকোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সেখানে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান দিতে পারেন। এছাড়া যেখানে মানুষের চলাচল বেশি সেখানে আশেপাশে কোথাও এই ব্যবসায়টি দিতে পারেন।
এই ব্যবসার অনেক চাহিদা রয়েছে মানুষ ফাস্ট ফুডের খাবার খেতে পছন্দ করে। আর এইসব খাবারের জন্য কোনো দামাদামি করা হয় না। আপনি অল্প কিছু টাকা নিয়ে এই ব্যবসায়টি করতে পারেন। খরচ কম থাকার কারণে ফাস্ট ফুড ব্যবসায় করে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়।
আরও পড়ুন – 

১৬। মুদি দোকানের ব্যবসা

ব্যবসায় করে দ্রুত সফলতা নিয়ে আসার জন্য এই ব্যবসার কোনো ভূমিকা নেই। আপনি একটি দোকান নিয়ে ভালো মানের মালামাল সংগ্রহ করে সুন্দরভাবে পরিপাটি করে সাজিয়ে নিবেন। কারণ যে দোকানের পরিবেশ সুন্দর সেই দোকানে কাস্টমার যায় বেশি। এর মূলক কারণ হচ্ছে মানুষ সৌন্দর্যের বেশি প্রাধান্য দেয়।
আপনার দোকানে সবসময় বেশি মালামাল রাখলে দোকান দেখতে সুন্দর লাগবে ফলে মানুষ আপনার দোকান থেকে পণ্য ক্রয় করতে বেশি আগ্রহী হবে। এই ব্যবসায়টি করার জন্য তেমন কোনো মূলধনের দরকার হয় না। আপনি যদি বড় দোকান নিয়ে থাকেন তাহলে একটু বেশি মূলধন লাগতে পারে। তাই আমি বলতে চাই ব্যবসার এই আইডিয়াটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হতে পারে।

১৭। টেইলার্সের দোকান

আপনি যদি সবচেয়ে কম বিনিয়োগ করে ভালো মানের আয় রোজগার করতে চান তাহলে এই ব্যবসায়টি আপনার জন্য। কারণ এই ব্যবসায় করার জন্য একটি মেশিন ও একটি দোকান হলেই করা যায়। কিন্তু তার আগে আপনার টেইলার্সের কাজ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যেকোনো ভাবে আপনি টেইলার্সের কাজ শিখে এই ব্যবসায় নেমে যেতে পারেন। টেইলার্সের ব্যবসায় করে ভালো মানের টাকা আয় করা যায়। এটা মহিলা ও পুরুষ যেকেউ করতে পারবেন কোনো সমস্যা নেই।

১৮। ফলের ব্যবসা

ছোট ব্যবসার মধ্যে ফলের ব্যবসা অন্যতম। এই ব্যবসায় বেশি পরিশ্রম হয় না অল্প টাকায় একটি দোকান ভাড়া বা নিজের কোনো দোকানে ব্যবসা শুরু করে দেওয়া যায়। দোকানে আপনি বিভিন্ন ধরণের ফল উঠাতে পারেন যেগুলোর চাহিদা বেশি এবং সুস্বাদু।
সচরাচর মানুষ এই ফলগুলো বেশি কিনে থাকে যেমনঃ আপেল, নাশপাতি, মাল্টা, আঙুর ইত্যাদি। ফলের ব্যবসা হচ্ছে একটি স্বল্প মূলধনের অল্প পুঁজির ব্যবসা। আপনি যদি বড় একটি দোকান নিয়ে বেশি মূলধন ব্যয় করতে পারেন তাহলে বেশি লাভবান হতে পারবেন।

১৯। ফুলের ব্যবসা

অল্প টাকায় একটি ফুলের দোকান দিতে পারেন। আপনি বিভিন্ন ধরণের ফুল সংগ্রহ করে কোনো বাঁজারে বা টাউন সাইটে দোকান দিয়ে এই ব্যবসায়টি করতে পারেন।
এছাড়া আপনি যদি প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে ব্যবসা করতে চান তাহলে সেটাও করতে পারেন। যেখানে মানুষের চলাচল বেশি সেইসব জায়গায় ফুলের দোকান দিলে আপনার ব্যবসা খুব দ্রুতই সফলতা আনা সম্ভব। মানুষ বিভিন্ন কারণে ফুল কিনে থাকে যেমনঃ বিয়ে, পার্টি, কোনো দিবস ও ইত্যাদি। সুতরাং ফুলের ব্যবসা আপনার জন্য সফলতা নিয়ে আসতে পারে।

২০। লাইব্রেরি ব্যবসা

এই ব্যবসায়টি খুবই ভালো মানের এবং লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া। আপনি যদি এই ব্যবসায়টি কোনো স্কুল-কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশে দিতে পারেন তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারেন। লাইব্রেরি ব্যবসায় লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই কারণ আপনার মালামালগুলো কখনই অকেজো হয়ে যাবে না এর চাহিদা থাকবে সবসময়।
আপনি লাইব্রেরির দোকানে বইয়ের পাশাপাশি একটি ফটোকপি মেশিন রাখতে পারেন। কারণ বিভিন্ন সময় ছাত্র-ছাত্রীরা আসে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ফটোকপি করার জন্য।
আপনার দোকানের আশেপাশে যদি আরো কোনো লাইব্রেরি থাকে তাহলে তাঁরা যে পণ্যগুলো বিক্রয় করে সেগুলোর পাশাপাশি আপনি আরো নতুন কোনো পণ্য বিক্রয় করার চেষ্টা করবেন। দেখবেন আপনার সফলতা খুব সহজেই চলে আসবে।

২১। কসমেটিকস ব্যবসা

খুবই ভালো মানের একটি ব্যবসার আইডিয়া যেটা না করলেই নয়। আপনি একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখবেন কসমেটিকসের দোকান কখনো খালি থাকে না বা থাকলেও খবই কম। এইসব দোকানে সবসময় কাস্টমারদের আনাগোনা থাকেই। মেয়েদের জন্য ভালো মানের কসমেটিকস উঠাতে পারলে আপনি খুব সহজেই লাভবান হতে পারবেন।
ব্যস্ত কোনো জায়গায় কসমেটিকসের দোকান দিলে আপনার জন্য ভালো হবে। এছাড়া আপনি যদি কোনো মহিলা কলেজ-ভার্সিটির আশেপাশে এই দোকান দিতে পারেন তাহলে আরো ভালো। আপনিতেও কসমেটিকসের মাল সবসময় চাহিদা রয়েই যায়। এই ব্যবসা করে আপনি লাভবান হতে পারবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।

২২। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা

এই ব্যবসায় সহজেই যে পরিমাণ লাভ অর্জন করা যায় অন্য কোনো ব্যবসায় এতটা লাভ নাও করতে পারেন। আপনি শুধু মাত্র একটি ব্যস্ত জায়গায় যদি এই ব্যবসায়টি দিতে পারেন তাহলে দেখবেন লাভ কাকে বলে। মানুষ সব সময় ভালো ও সুস্বাদু খাবার খেতে পছন্দ করে আর রেস্টুরেন্ট হচ্ছে সুস্বাদু খাবারের জন্য।
আপনি একটি ছোট বা বড় দোকান নিয়ে সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করবেন এবং বিভিন্ন আইটেম তৈরি করার জন্য ভালো কয়েকজন কারিগর রাখবেন। আপনার রেস্টুরেন্টের খাবারের গুণগত মান যদি ভালো হয় দেখবেন খুবই দ্রুত আপনার দোকানে কাস্টমার বেড়ে যাবেন। তাই আপনার জন্য এই ব্যবসায়টি হতে পারে সবচেয়ে লাভজকন ব্যবসার আইডিয়া।

২৩। পাইকারি ব্যবসা

আপনার যদি বেশি মূলধন থাকে তাহলে পাইকারি ব্যবসা হতে পারে আপনার সবচেয়ে ভালো। পাইকারি ব্যবসা করলে আপনার তেমন কোনো ঝামেলা থাকবে না বিভিন্ন দোকানদার এসে আপনার কাছ থাকে মাল নিয়ে যাবে। ব্যবসার একটি সূত্র আছে যেটা হচ্ছে বেশি বেশি পণ্য বিক্রয় করা। এর কারণ হচ্ছে আপনার পণ্য বেশি বিক্রয় হলে লাভের দিকে আর তাকাতে হয় না। ঠিক পাইকারি ব্যবসার মধ্যেও বেশি পণ্য বিক্রয় হয় এতে লাভের সম্ভাবনা থাকে অনেক।
কোনো দোকানদার দুই একটা মালের জন্য পাইকারদের কাছে আসে না। তাঁরা ডজন ডজন মালের অর্ডার দিয়ে যায় বিক্রয়ের জন্য। আপনি যেকোনো পণ্য নিয়ে পাইকারি ব্যবসায় করতে পারেন কোনো সমস্যা নেই। সুতরাং এটা আপনার খুবই ভালো একটি ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে।

২৪। বেকারি ব্যবসা – ব্যবসার আইডিয়া

অল্প টাকায় মুনাফা অর্জন করার জন্য বেকারি ব্যবসা করতে পারেন। আপনি একটি দোকান নিয়ে কয়েকজন কারিগর রেখে ভালো ভালো পণ্য তৈরি করে বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করতে পারেন পাইকারি দামে। এই ব্যবসায় আপনার তেমন পরিশ্রম করা লাগবে না এবং অল্প টাকায় শুরু করতে পারবেন।

২৫। কাপড়ের ব্যবসা – ব্যবসার আইডিয়া

আপনি নিশ্চয় জানেনে কাপড়ের ব্যবসা কতটা লাভজনক। মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই ঠিক তেমনি বিভিন্ন ধরণের নতুন পেন্ট শার্ট, থ্রি-পিস ও শাড়ি ইত্যাদি সবাই কিনতে চায়। আর যেকোনো কাপড়ের ব্যবসা করতে পারেন কারণ এই ব্যবসায় মানুষ প্রচুর মুনাফা অর্জন করে থাকে।
বাংলাদেশে বিভিন্ন উৎসব হয়ে থাকে সেই উৎসব অনুযায়ী আপনি যদি দোকানে কাপড় উঠাতে পারেন তাহলে ক্রেতার কোনো অভাব হবে না। আপনি মোটামুটি ভালো মানের মূলধন নিয়ে কপড়ের ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন। এটা আপনি যত করবেন আপনার তত অভিজ্ঞতা হবে। তাই আপনার যদি ভালো মানের মুলধন থাকে তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যবসার আইডিয়া।

২৬। জুতার ব্যবসা

কাপড়ের ব্যবসার মতো জুতার ব্যবসারও অনেক চাহিদা রয়েছে। আপনার যদি মুলধন কিছুটা কম থাকে তাহলে বাঁজারে একটি দোকান নিয়ে বিভিন্ন ধরণের জুতা উঠাতে পারেন। আর যদি মুলধন বেশি থাকে তাহলে ভালো মানের ব্রান্ডের জুতা উঠাতে পারেন। তবে ব্রান্ডের মাল উঠানুর জন্য আপনার ক্রেতার চাহিদার দিকে নজর দিতে হবে।
আপনি চাইলে অল্প টাকার মধ্যে একটি জুতার দোকান দিতে পারেন কারণ মানুষ কিছু দিন পর পর জুতার দোকানে যেয়ে জুতা ক্রয় করে থাকে। আর দোকানে ভালো মানের জুতা উঠাতে পারলে তরুন-তরুনীরা আপনার দোকানে বেশি ভিড় জমাবে। এভাবে আপনার ব্যবসায় মুনাফা আসবে বেশি।

২৭। ফটো স্টুডিও ব্যবসা

এই ব্যবসায়টি আপনার জন্য বিভিন্ন ভাবে লাভজনক হতে পারে। আপনি যদি ফটো স্টুডিও কাজ না জানেন তাহলে যেকোনো ভাবে এটা শিখে নিয়ে একটি দোকান দিতে পারেন।
এছাড়া দোকানে আরো কিছু মেশিন রাখতে পারেন যেমনঃ ফটোকপি মেশিন ও প্রিন্টার মেশিন। আপনি দোকান দেওয়ার পর যদি কম লোকজনও আসে তাতে আপনার কোনো সমস্যা হবে না। কারণ আপনি যেহেতু ফটোশপের কাজ জানেন তাই আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই কাজের অনেক ডিমান্ড রয়েছে।

২৮। হার্ডওয়্যার এর ব্যবসা

অল্প মুলধন নিয়ে ছোট এই ব্যবসায়টি করতে পারেন খুব সহেজ। হার্ডওয়্যারের ব্যবসায় বিভিন্ন ধরণের মালামাল নিয়ে দোকান নিয়ে বসতে পারেন। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধদরনের যন্ত্রপাতি উঠাতে পারেন। বর্তমানে বাঁজারে এই ব্যবসার অনেক চাহিদা রয়েছে ব্যস্ত কোনো জায়গায় দোকান দিয়ে ব্যবসায়টি করতে পারেন।

২৯। চশমার ব্যবসা

সম্প্রতি চশমার ব্যবসা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি মোটামুটি ভালো কিছু মুলধন নিয়ে এই ব্যবসায় নেমে যেতে পারেন। চশমার ব্যবসা করার জন্য চশমার সম্পর্কে আপনার কিছু ধারণা থাকতে হবে। এর জন্য আপনি কিছু দিন কোনো চশমার দোকানে কাজ শিখে নিজে একটি দোকান দিতে পারেন।
আপনার দোকান যদি বড় হয় তাহলে কোনো কারিগর রাখতে পারেন কাজের অর্ডার দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য। চশমার দোকান একটি ভালো জায়গায় দেওয়ার চেষ্টা করবেন যেখানে মানুষের চলা ফেরা বেশি।

৩০। কফি হাউজের ব্যবসা

এই ব্যবসায়টি বর্তমান তরুন-তরুনীদের জন্য খুবই আকর্ষনীয়। আপনি একটি কফি হাউজ তৈরি করে সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করলে ক্রেতাদের চাহিদার কোনো শেষ থাকবে না। অলটাইম ক্রেতারা আপনার দোকানে ভিড় করবে।
আর যদি কোনো স্কুল-কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কফি হাউজের দোকান দিতে পারেন তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। কফি হাউজের ব্যবসা করলে আপনার মুলধন কম লাগবে এবং বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে সর্বশেষ,

আপনি যদি ব্যবসা করার জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়ে থাকেন তাহলে এই ৩০টি ব্যবসার আইডিয়া থেকে যেটা আপনার কাছে ভালো মনে হয় সেটাই করতে পারেন। আসলে ব্যবসা করার জন্য প্রথম দিকে একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। কারণ সবসময় যে একই পরিমাণ লাভ হবে সেটা কোনো কথা নয়। কিছু সময় কম-বেশি হতে পারে তাই আপনি ব্যবসা করার সময় একটি জিনিস লক্ষ্য রাখবেন কিভাবে আরো ভালো ভাবে ব্যবসা উন্নত করা যায়। দেখবেন আপনার পণ্য কেনার জন্য মানুষের ভিড়ের কোনো শেষ নেই।